বাংলাদেশে সবজির সরবরাহ চেইন অকার্যকারিতা এবং শোষণমূলক প্রথার জন্য চিহ্নিত হয়েছে, বাংলাদেশ দোকান মালিকদের সংঘের এক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। নয় পৃষ্ঠার একটি রিপোর্টে, যার শিরোনাম “উৎপাদক এবং ভোক্তা স্তরে সবজির দামের পার্থক্য: বিশ্লেষণ, কারণ এবং সমাধান”, এতে ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং টমেটোর মতো অপরিহার্য খাদ্য উপাদানগুলি সহ ১৫৬ ধরণের সবজি প্রভাবিত করা নানান অনিয়মের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি দেখায় যে ফার্ম থেকে ভোক্তাদের টেবিলে পণ্যের যাত্রা পথে বিভিন্ন পর্যায়ে বহুগুণ অর্থ প্রদান করা হয়, যা ভোক্তাদের জন্য দাম বাড়ানো এবং কৃষকদের জন্য আয় হ্রাস করে।
সংঘের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অযাচিত খরচের ভূমিকা বোঝানো এবং ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধি নিরসনের জন্য বিশেষায়িত ট্রাক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তদন্তটি কৃষকদের সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি আলোকপাত করে, যারা বাজারে সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে মধ্যস্থতাকারী এবং একটি “অদৃশ্য” সিন্ডিকেট যা মূল্য নির্ধারণ করে, তাদের মধ্য দিয়ে নেভিগেট করতে হয়। যদি কৃষকরা নির্ধারিত দামের সাথে সম্মতি প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে প্রায়শই তাদের পণ্য অবিক্রীত এবং নষ্ট হয়ে যায়।
তাছাড়া, রিপোর্টে কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির প্রচলনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ফুটপাথ শ্রমিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠী জড়িত থাকে, এবং এটি বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে ঘটে থাকে যা সরবরাহকারীদের উপর মোট খরচের বোঝা বাড়িয়ে তোলে। সংঘের আবিষ্কার অনুযায়ী, এই সিস্টেমিক সমস্যাগুলি সমাধান করা বাংলাদেশে ভোক্তাদের জন্য সবজির অধিক ন্যায্য মূল্য এবং উন্নত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।